দোয়েল পাখির বৈশিষ্ট্য |দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০টি বাক্য
বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েল। দোয়েল পাখি আমরা প্রায় দেখে থাকি। এছাড়াও আমাদের পাঠ্য বইয়ে দোয়েল পাখি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য রয়েছে। প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দোয়েল পাখি একটি শিক্ষনীয় বিষয়। স্কুলের ও চাকরির পরীক্ষায় দোয়েল পাখি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন থাকে। আপনি যদি ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০টি বাক্য জানতে হবে।
কারন , স্কুলের ও অন্যান্য প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় প্রায়ই "দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য লিখ/ বলো?" এই বিষয়ে প্রশ্ন আসে। এই পোস্টে দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০ টি বাংলা এবং ইংরেজিতে বাক্য দেয়া হলো। আপনারা দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য বাংলায় ও ইংরেজিতে জেনে যেকোনো লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় দোয়েল পাখি সম্পর্কে বাংলায় অথবা ইংরেজিতে দশটি বাক্য লিখতে ও বলতে পারবেন।
দোয়েল পাখি সম্পর্কে
দোয়েল পাখি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্যাবলীঃ
বাংলাদেশের জাতীয় পাখি হচ্ছে দোয়েল। দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis. এই পাখিকে ইংরেজিতে Magpie Robin ( ম্যাগপাই রবিন ) বলা হয়। ফরাসী ভাষায় একে বলা হয় Shama dayal এবং ওলন্দাজ ভাষায় একে বলা হয় Dayallijster।বাংলাদেশের প্রায় সকল জায়গায় এই পাখি দেখতে পাওয়া যায়।
মূলত বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে দোয়েল পাখি বেশি দেখা যায়। দোয়েল পাখির আকারে ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার বা ৭ থেকে ৮ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। এর লম্বা লেজ আছে যা অধিকাংশ সময় খাড়া করে রাখে। দক্ষিণ এশিয়ায় দোয়েল পাখির প্রজননকাল মার্চ থেকে জুলাই আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জানুয়ারি থেকে জুলাই। পুরুষ দোয়েল স্ত্রী দোয়েলকে আকৃষ্ট করার জন্য মিষ্টি সুরে ডাকাডাকি করে।
তবে স্ত্রী দোয়েল ও পুরুষ দোয়েলের উপস্থিতিতে ডাকতে পারে। দোয়েল পাখি সব সময় গাছের ডালে বা মাটিতে খাবারের খোঁজে লাফা লাফি করে বেড়ায়। পোকা-মাকড়, কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাদ্য। স্ত্রী দোয়েল সাধারণত ৪থেকে ৫ টা ডিম দেয়। সাধারণভাবে ডিমগুলা ফ্যাকাশে রংগের হয়। স্ত্রী দোয়েল পাখি বাচ্চা ফুটানোর জন্য ডিমে তা দেয়ার ৮ থেকে ১৪ দিন পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। দোয়েল পাখি ১৫ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০টি বাক্য
দোয়েল পাখি সম্পর্কে নিচে গুরুত্বপূর্ণ আরও দশটি বাক্য দেয়া হলো।
-বাংলাদেশের জাতীয় পাখির নাম দোয়েল।
-দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis.
দোয়েল পাখির ইংরেজি নাম কী
-দোয়েল পাখির ইংরেজি নাম Magpie Robin ( ম্যাগপাই রবিন ) বলা হয়।
-বাংলাদেশে মূলত গ্রাম অঞ্চলে দোয়েল পাখি বেশি বেশি দেখা যায়।
-দোয়েল পাখি আকারে ১৫-২০ সেন্টিমিটার বা ৭ - ৮ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। এর লম্বা লেজ আছে যা অধিকাংশ সময় খাড়া করে রাখে।
দোয়েল পাখির বাসার ধরন
-দক্ষিণ এশিয়া দেশে দোয়েল পাখির প্রজনন কাল মার্চ থেকে জুলাই এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জানুয়ারি থেকে জুলাই।
-দোয়েল পাখি সব সময় গাছের ডালে বা মাটিতে খাবারের খোঁজে লাফিয়ে বেড়ায়। পোকা-মাকড়, কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাদ্য।
-স্ত্রী দোয়েল সাধারণত ৪ থেকে ৫টি ডিম দেয়। সাধারণ ভাবে ডিমগুলি ফ্যাকাশে রঙ্গের হয়।
-স্ত্রী দোয়েল পাখি বাচ্চা ফুটানোর জন্য ডিমে তা দেয়ার ৮ থেকে ১৪ দিন পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।
দোয়েল পাখি ১৫ বছর পর্যন্ত বাঁচে
দোয়েল পাখি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য
দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০টি বাক্য জেনে স্কুল কিংবা চাকরির লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের উত্তর দিন সহজেই। আমাদের স্কুলের বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রায়শই দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০টি বাক্য লিখতে বলা হয়। এছাড়াও বিসিএস কিংবা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় “ দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০টি বাক্য লিখ” এই প্রশ্ন অনেকবার এসেছে। তাই আপনি দোয়েল পাখি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন। আজকের এই পোস্টটি দোয়েল পাখি সম্পর্কে বেশ কয়েকটি বাক্য নিয়েই সাজানো হয়েছে। তাই আপনি এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
দোয়েল পাখি অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের জাতীয় পাখি হিসেবে স্বীকৃত পাখি হচ্ছে দোয়েল পাখি। দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হলো Copsychus saularis। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এই পাখিটি সচারাচর দেখা যায়। ইংরেজীতে দোয়েল পাখিকে Magpie Robin ( ম্যাগপাই রবিন ) বলা হয়। দোয়েল পাখি সাধারণত সাদা ও কালো রঙ্গের হয়ে থাকে এবং একটি লম্বা লেজ থাকে। এই পাখির বাংলা নামটির সাথে ফরাসী ও ওলন্দাজ নামের অনেকাংশে মিল রয়েছে। ফরাসি ভাষায় দোয়েল পাখিকে বলা হয় Shama dayal এবং ওলন্দাজ ভাষায় একে Dayallijster নামে ডাকা হয়। বাংলাদেশের প্রায় সবত্রে দেখা যায় বলে দোয়েল পাখিকে বাংলাদেশের জাতীয় নামে স্বীকৃত দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের জনবসতি এলাকায় দোয়েল পাখি দেখতে পাওয়া যায়।
সাধারণত গ্রামীণ অঞ্চলে খুব ভোরবেলায় দোয়েল পাখিদের কলকাকলি শোনা যায়। গ্রামের সৌন্দর্য আরও অপরূপ করে তোলে আমাদের জাতীয় পাখি দোয়েল পাখি। দোয়েল পাখির চিত্র বাংলাদেশের দুই টাকার মুদ্রাতে দেখা যায়। তবে চলুন জেনে নেয়া যাক দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০টি বাক্য
দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০টি বাক্য
বাংলাদেশের জাতীয় মর্যাদা পাওয়া পাখি হলো দোয়েল পাখি।
দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হলো Copsychus saulari।
বাংলাদেশ এর দুই টাকারা নোট এ দোয়েল পাখির চিত্র দেখা যায়।
ইংরেজীতে দোয়েল পাখিকে ম্যাগপাই রবিন বলা হয়।
সাধারণত দোয়েল পাখির আকার ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে বা ৭ – ৮ ইঞ্চি লম্বা হয়ে এবং কালো ও সাদা রঙ্গের হয়ে থাকে।
দক্ষিণ এশিয়ায় দোয়েল পাখির প্রজননকালের সময় হচ্ছে মার্চ থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দোয়েল পাখির প্রজননকাল জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত।
সাধারণত বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে দোয়েল পাখি বেশী দেখা যায়।
দোয়েল পাখির প্রধান খাদ্য হলো কীট পতঙ্গ ছোট ছোট শুঁও পোকা, ভাত, ধান, চাল ইত্যাদি।
দোয়েল পাখি বাচ্চা ফুটানোর জন্য ডিমে তা দেয় এবং তা থেকে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে ৮ দিন থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
দোয়েল পাখি এর নামে রাজধানী ঢাকা তে দোয়েল চত্বর রয়েছে যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকারয় অবস্থিত।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
দোয়েল পাখি সম্পর্কে ১০টি বাক্য এই বিষয়ে আপনার মনে কতিপয় প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেই সেই সকল প্রশ্ন ও উত্তরগুলো।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url