তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা

ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য তরমুজ বেশ উপকারী। গ্রীষ্মকালীন এই ফলের রস আমাদের ত্বকের পানিশূন্যতা দূর করে। তরমুজে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, বি, সি। ভিটামিন এ শুধু ত্বক নয়, চোখ, চুল, নখ, দাঁতসহ সব অঙ্গের পুষ্টির জন্য খুবই জরুরি। গ্রীষ্মকালীন এই ফলে পানি রয়েছে শতকরা প্রায় ৯৩-৯৫ ভাগ।




আমাদের কোলাজেন ত্বকের সংকোচন রোধ করে। তরমুজ ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । নিয়মিত যাঁরা নাইট রাতে ডিউটি করেন. রোদে অনেক সময় যাদের কাজ করতে হয়, তাদের ত্বকে কালচে ভাব বেড়ে যায়। চলে আসে শুষ্ক ভাব। ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য তরমুজ ত্বকের স্ক্র্যাবার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। তরমুজের রসে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা আমাদের তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা



আমাদের সারা দেহে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য স্নায়ু। মুখের ত্বকেও রয়েছে অগণিত স্নায়ু। এই স্নায়ুগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ভিটামিন বি খুবই দরকারি। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন বি, যা পুরো শরীরে স্নায়ুর পুষ্টি জোগায় এবং ত্বকের উজ্জ্বল তা বৃদ্ধি করে। অনেকের মুখ ও ঘাড়ে ব্রণ হয়। তরমুজে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ত্বকের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। পরিণামে ব্রণ তৈরি হওয়ার ব্যাকটেরিয়া কমে যায়। ত্বক পরিষ্কারক হিসেবেও তরমুজ পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছোট–বড় সব বয়সের মানুষের জন্য তরমুজ খুবই উপকারী ফল। এই ফলে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় শরীরের অম্ল–ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখে, দূর করে ক্লান্তিভাব। তরমুজে রয়েছে খনিজ লবণের উপস্থিতি। ত্বক, চুল, দাঁত, হাড় ও নখের পুষ্টির জন্য খনিজ লবণও ভীষণ উপকারী। তবে তরমুজ টাটকা অবস্থায় খাওয়াই উত্তম। এই ফল ফ্রিজে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা অনুচিত।

তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময়

লাল টুক টুকে রোসালো তরমুজ বাজারে এসেছে। মূলত ফেব্রুয়ারির মধ্যে সময় থেকে তরমুজ পাওয়া যায়। গরমের ক্লান্তি দূর করতে তরমুজের বিকল্প নেই। পুষ্টি ও গুণের দিক থেকে ফল টির বিকল্প নেই । তরমুজে আছে লাইকোপেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এ ছাড়া ও তরমুজের প্রায় ৯২ শতাংশই পানি। ফলে এই গরমে ডিহাইড্রেশন দূর করতে তরমুজের বিকল্প নেই। এই ফল টি তে ভিটামিন এ, সি ও বি পাওয়া যায় ফলটি থেকে। তরমুজে আরও মেলে লাইকোপেন ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। জেনে নিন গরমের ফল তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তরমুজে থাকা লাইকোপেন ক্যানসারের আসোক্কা কমাতে উপকার করে। তরমুজে পানির পরিমাণ অনেক বেশি পরিমানে থাকে, সেই সাথে থাকে আঁশ। তাই তরমুজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখে। তরমুজে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামসহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে যেটা হৃদরোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। তরমুজে থাকা কোলিন নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য উপকারী। মাংসপেশির মুভমেন্ট, দেহকোষের মেমব্রেন গঠন, মস্তিষ্ক গঠন ও নার্ভের কার্যকারিতা বাড়াতে কোলিন বেশ সহায়ক। তরমুজে আছে অনেক পরিমাণে পানি। এজন্য এর সবচেয়ে বড় উপকারিতা হচ্ছে এটি অতি তীব্র গরমেও আপনার শরীরকে পানিশূন্য হতে দেবে না। ত্বক ভালো রাখে তরমুজে থাকা ভিটামিন সি। তরমুজে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মাসেল সুস্থতা বজায় রাখে। তরমুজ ভিটামিন সি ও বি৬ সমৃদ্ধ। এ দুটি উপাদান শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। তবে খুবই সামান্য ক্যালোরি আছে তরমুজ এর ভিতরে। এক কাপ তরমুজ থেকে মাত্র ৪৬ ক্যালোরি পাওয়া যায়। ফলে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এটি। চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহাতা করে তরমুজে থাকা ভিটামিন (এ)।

তরমুজের উপকারিতা




ব্রণ দূর করে তরমুজব্রণ দূর করে তরমুজ আমাদের সারা দেহে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য স্নায়ু। মুখের ত্বকেও রয়েছে অগণিত স্নায়ু। এই স্নায়ুগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ভিটামিন বি খুবই দরকারি। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন বি, যা পুরা দেহের স্নায়ুর পুষ্টি পস্তুত এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। অনেকের মুখ ও ঘাড়ে ব্রণ হয়। তরমুজে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ত্বকের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। পরিণামে ব্রণ তৈরি হওয়ার ব্যাকটেরিয়া কমে যায়। ত্বক পরিষ্কারক হিসেবেও তরমুজ পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তরমুজ দূর করবে ক্লান্তি তরমুজ দূর করবে ক্লান্তি ছোট–বড় সব বয়সের মানুষের জন্য তরমুজ খুবই উপকারী ফল। এই ফলে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় শরীরের অম্ল–ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখে, দূর করে ক্লান্তিভাব। তরমুজে রয়েছে খনিজ লবণের উপস্থিতি। ত্বক, চুল, দাঁত, হাড় ও নখের পুষ্টির জন্য খনিজ লবণও ভীষণ উপকারী। তবে তরমুজ টাটকা অবস্থায় খাওয়াই উত্তম। এই ফল ফ্রিজে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা অনুচিত। চলছে গ্রীষ্মকাল। গরমে নাকাল দেশবাসী। কোন না কোন এলাকায় প্রতিনিয়ত তাপমাত্রার রেকর্ড হচ্ছে। গরমে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে মৌসুমের রসালো ফল তরমুজ। গবেষক ও পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম তরমুজে ৩০ ক্যালরি থাকে। রসালো, সুস্বাদু এই ফলটি যেমন আকারে বড় তেমনি এর গুণও অনেক। একনজরে দেখে নেওয়া যাক গরমে তরমুজ কেন উপকারী- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : তরমুজ এ রয়েছে পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন বি যেটা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তরমুজ আমাদের দেহের ভেতর তৈরি হওয়া টক্সিনকে দূর করে, ফলে শরীর চাঙ্গা থাকে।

শরীরে পানির ঘাটতি দূর করে




তরমুজ এ প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। গরম এর আমাদের দেহ থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। ফলে এই সময় শরীরে পানির যে ঘাটতি তৈরি হয় তা পূরণ করে তরমুজ। শরীর সুস্থ ও সতেজ থাকে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও শুষ্কতা দূর করে:

তরমুজ এর মধ্যে যে জৈব অ্যাসিড থাকে তা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। তরমুজ এ আছে ময়েশ্চারাইজিং ক্ষমতা, যা ত্বকের আসল ময়েশ্চার ধরে রাখে। তরমুজ এর রস খেলে সূর্যের তাপে ত্বক এর যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। রোদে পোড়া ত্বকে তরমুজ এর রস মাখলে ভাল ফল পাবেন।

ওজন কমাতে সাহায্য করে:



তরমুজ এ অনেক পরিমানে পানি এবং অল্প পরিমাণে ক্যালোরি থাকায় পেটপুরে এই ফল খাওয়া যায়। এর ফলে খিদে থেকে মুক্তি মেলে, আর ওজন সেভাবে বাড়ে না। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে: তরমুজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আবার এই ফলটি হৃদযন্ত্রের জন্যও ভাল। হৃদযন্ত্রে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে। এতে হৃদযন্ত্র ‘ব্লক’ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কিডনির জন্য উপকারী: তরমুজ কিডনির জন্য উপকারী একটি ফল। এটি কিডনি ও মুত্রথলিকে বর্জ্যমুক্ত করে। কিডনিতে পাথর হলে চিকিৎসকরা ডাবের জল, তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। স্ট্রেসজনিত সমস্যা সমাধান করে: তরমুজে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারটিনয়েড, ট্রিটেপেনইডিস এবং ফেনোলিক-এর মতো যৌগ রয়েছে। এগুলো শরীরের ব্যথা, যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। তরমুজের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তরমুজ খেলে স্ট্রেসজনিত অসুস্থতাও কমে যায়।ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য তরমুজ বেশ উপকারী। গ্রীষ্মকালীন এই ফলের রস আমাদের ত্বকের পানিশূন্যতা দূর করে। তরমুজে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, বি, সি। ভিটামিন এ শুধু ত্বক নয়, চোখ, চুল, নখ, দাঁতসহ সব অঙ্গের পুষ্টির জন্য খুবই জরুরি। গ্রীষ্মকালীন এই ফলে পানি রয়েছে শতকরা প্রায় ৯৩-৯৫ ভাগ। আমাদের কোলাজেন ত্বকের সংকোচন রোধ করে। তরমুজ ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । নিয়মিত যাঁরা নাইট রাতে ডিউটি করেন. রোদে অনেক সময় যাদের কাজ করতে হয়, তাদের ত্বকে কালচে ভাব বেড়ে যায়। চলে আসে শুষ্ক ভাব। ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য তরমুজ ত্বকের স্ক্র্যাবার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। তরমুজের রসে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা আমাদের তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আমাদের সারা দেহে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য স্নায়ু। মুখের ত্বকেও রয়েছে অগণিত স্নায়ু। এই স্নায়ুগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ভিটামিন বি খুবই দরকারি। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন বি, যা পুরো শরীরে স্নায়ুর পুষ্টি জোগায় এবং ত্বকের উজ্জ্বল তা বৃদ্ধি করে। অনেকের মুখ ও ঘাড়ে ব্রণ হয়। তরমুজে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ত্বকের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। পরিণামে ব্রণ তৈরি হওয়ার ব্যাকটেরিয়া কমে যায়। ত্বক পরিষ্কারক হিসেবেও তরমুজ পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ছোট–বড় সব বয়সের মানুষের জন্য তরমুজ খুবই উপকারী ফল। এই ফলে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় শরীরের অম্ল–ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখে, দূর করে ক্লান্তিভাব। তরমুজে রয়েছে খনিজ লবণের উপস্থিতি। ত্বক, চুল, দাঁত, হাড় ও নখের পুষ্টির জন্য খনিজ লবণও ভীষণ উপকারী। তবে তরমুজ টাটকা অবস্থায় খাওয়াই উত্তম। এই ফল ফ্রিজে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা অনুচিত। লাল টুক টুকে রোসালো তরমুজ বাজারে এসেছে। মূলত ফেব্রুয়ারির মধ্যে সময় থেকে তরমুজ পাওয়া যায়। গরমের ক্লান্তি দূর করতে তরমুজের বিকল্প নেই। পুষ্টি ও গুণের দিক থেকে ফল টির বিকল্প নেই । তরমুজে আছে লাইকোপেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এ ছাড়া ও তরমুজের প্রায় ৯২ শতাংশই পানি। ফলে এই গরমে ডিহাইড্রেশন দূর করতে তরমুজের বিকল্প নেই। এই ফল টি তে ভিটামিন এ, সি ও বি পাওয়া যায় ফলটি থেকে। তরমুজে আরও মেলে লাইকোপেন ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। জেনে নিন গরমের ফল তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তরমুজে থাকা লাইকোপেন ক্যানসারের আসোক্কা কমাতে উপকার করে। তরমুজে পানির পরিমাণ অনেক বেশি পরিমানে থাকে, সেই সাথে থাকে আঁশ। তাই তরমুজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখে। তরমুজে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামসহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে যেটা হৃদরোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। তরমুজে থাকা কোলিন নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য উপকারী। মাংসপেশির মুভমেন্ট, দেহকোষের মেমব্রেন গঠন, মস্তিষ্ক গঠন ও নার্ভের কার্যকারিতা বাড়াতে কোলিন বেশ সহায়ক। তরমুজে আছে অনেক পরিমাণে পানি। এজন্য এর সবচেয়ে বড় উপকারিতা হচ্ছে এটি অতি তীব্র গরমেও আপনার শরীরকে পানিশূন্য হতে দেবে না। ত্বক ভালো রাখে তরমুজে থাকা ভিটামিন সি। তরমুজে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মাসেল সুস্থতা বজায় রাখে। তরমুজ ভিটামিন সি ও বি৬ সমৃদ্ধ। এ দুটি উপাদান শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। তবে খুবই সামান্য ক্যালোরি আছে তরমুজ এর ভিতরে। এক কাপ তরমুজ থেকে মাত্র ৪৬ ক্যালোরি পাওয়া যায়। ফলে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এটি। চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহাতা করে তরমুজে থাকা ভিটামিন (এ)। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় :


তরমুজ এ রয়েছে পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন বি যেটা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তরমুজ আমাদের দেহের ভেতর তৈরি হওয়া টক্সিনকে দূর করে, ফলে শরীর চাঙ্গা থাকে।

কিডনির জন্য উপকারী:

তরমুজ কিডনির জন্য উপকারী একটি ফল। এটি কিডনি ও মুত্রথলিকে বর্জ্যমুক্ত করে। কিডনিতে পাথর হলে চিকিৎসকরা ডাবের জল, তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

স্ট্রেসজনিত সমস্যা সমাধান করে:


তরমুজে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারটিনয়েড, ট্রিটেপেনইডিস এবং ফেনোলিক-এর মতো যৌগ রয়েছে। এগুলো শরীরের ব্যথা, যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। তরমুজের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তরমুজ খেলে স্ট্রেসজনিত অসুস্থতাও কমে যায়।ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য তরমুজ বেশ উপকারী। গ্রীষ্মকালীন এই ফলের রস আমাদের ত্বকের পানিশূন্যতা দূর করে। তরমুজে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, বি, সি। ভিটামিন এ শুধু ত্বক নয়, চোখ, চুল, নখ, দাঁতসহ সব অঙ্গের পুষ্টির জন্য খুবই জরুরি। গ্রীষ্মকালীন এই ফলে পানি রয়েছে শতকরা প্রায় ৯৩-৯৫ ভাগ। আমাদের কোলাজেন ত্বকের সংকোচন রোধ করে। তরমুজ ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । নিয়মিত যাঁরা নাইট রাতে ডিউটি করেন. রোদে অনেক সময় যাদের কাজ করতে হয়, তাদের ত্বকে কালচে ভাব বেড়ে যায়। চলে আসে শুষ্ক ভাব। ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য তরমুজ ত্বকের স্ক্র্যাবার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। তরমুজের রসে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা আমাদের তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আমাদের সারা দেহে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য স্নায়ু। মুখের ত্বকেও রয়েছে অগণিত স্নায়ু। এই স্নায়ুগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ভিটামিন বি খুবই দরকারি। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন বি, যা পুরো শরীরে স্নায়ুর পুষ্টি জোগায় এবং ত্বকের উজ্জ্বল তা বৃদ্ধি করে। অনেকের মুখ ও ঘাড়ে ব্রণ হয়। তরমুজে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ত্বকের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। পরিণামে ব্রণ তৈরি হওয়ার ব্যাকটেরিয়া কমে যায়। ত্বক পরিষ্কারক হিসেবেও তরমুজ পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ছোট–বড় সব বয়সের মানুষের জন্য তরমুজ খুবই উপকারী ফল। এই ফলে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় শরীরের অম্ল–ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখে, দূর করে ক্লান্তিভাব। তরমুজে রয়েছে খনিজ লবণের উপস্থিতি। ত্বক, চুল, দাঁত, হাড় ও নখের পুষ্টির জন্য খনিজ লবণও ভীষণ উপকারী। তবে তরমুজ টাটকা অবস্থায় খাওয়াই উত্তম। এই ফল ফ্রিজে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা অনুচিত। লাল টুক টুকে রোসালো তরমুজ বাজারে এসেছে। মূলত ফেব্রুয়ারির মধ্যে সময় থেকে তরমুজ পাওয়া যায়। গরমের ক্লান্তি দূর করতে তরমুজের বিকল্প নেই। পুষ্টি ও গুণের দিক থেকে ফল টির বিকল্প নেই । তরমুজে আছে লাইকোপেন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এ ছাড়া ও তরমুজের প্রায় ৯২ শতাংশই পানি। ফলে এই গরমে ডিহাইড্রেশন দূর করতে তরমুজের বিকল্প নেই। এই ফল টি তে ভিটামিন এ, সি ও বি পাওয়া যায় ফলটি থেকে। তরমুজে আরও মেলে লাইকোপেন ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। জেনে নিন গরমের ফল তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তরমুজে থাকা লাইকোপেন ক্যানসারের আসোক্কা কমাতে উপকার করে। তরমুজে পানির পরিমাণ অনেক বেশি পরিমানে থাকে, সেই সাথে থাকে আঁশ। তাই তরমুজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখে। তরমুজে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামসহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে যেটা হৃদরোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। তরমুজে থাকা কোলিন নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য উপকারী। মাংসপেশির মুভমেন্ট, দেহকোষের মেমব্রেন গঠন, মস্তিষ্ক গঠন ও নার্ভের কার্যকারিতা বাড়াতে কোলিন বেশ সহায়ক। তরমুজে আছে অনেক পরিমাণে পানি। এজন্য এর সবচেয়ে বড় উপকারিতা হচ্ছে এটি অতি তীব্র গরমেও আপনার শরীরকে পানিশূন্য হতে দেবে না। ত্বক ভালো রাখে তরমুজে থাকা ভিটামিন সি। তরমুজে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মাসেল সুস্থতা বজায় রাখে। তরমুজ ভিটামিন সি ও বি৬ সমৃদ্ধ। এ দুটি উপাদান শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। তবে খুবই সামান্য ক্যালোরি আছে তরমুজ এর ভিতরে। এক কাপ তরমুজ থেকে মাত্র ৪৬ ক্যালোরি পাওয়া যায়। ফলে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এটি। চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহাতা করে তরমুজে থাকা ভিটামিন (এ)।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
ajkerit
ajkerit
ajkerit